Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এক নজরে আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(RTC)

                                         প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি

প্রতিষ্ঠানের নামঃ আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র (RTC)

মন্ত্রণালয়ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

অধিদপ্তরঃ জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট)

প্রতিষ্ঠানের অবস্থানঃ চট্রগ্রাম বিভাগের  চট্রগ্রাম জেলাস্থ সীতাকুন্ড  উপজেলায়  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে  নিজস্ব ভবন ।

প্রতিষ্ঠাকালঃ প্রতিষ্ঠানটি জেলা  ট্রেনিং টিম নামে , চট্রগ্রাম শহরের  নাছিরাবাদ এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে   ০১/০২/১৯৭৯ সালে  প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৭৮-১৯৭৯ অর্থবছর থেকে  প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরম্ভ হয় । চট্রগ্রাম গনপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে সীতাকুন্ড, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  অভ্যন্তরে নির্মিত নিজস্ব ভবনে  ১৯৮৫ সালের ০১ জুলাই  তারিখে  প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তরিত হয় । ভবনটির আনুষ্ঠানিক কোন  উদ্বোধন হয় নাই । তৎকালীন  প্রশিক্ষণ  কর্মকর্তা  মরহুম  এ কে এম ইয়াছিন কর্তৃক  চট্রগ্রামের ভাড়া বাড়ী থেকে  , সীতাকুন্ড নতুন ভবনে বিভাগীয় কার্য্ক্রম আরম্ভ করেন । প্রতিষ্ঠানটির নামে নিজস্ব কোন জমি  নাই । ফলে কোন ভূমি কর দিতে হয় না । ভবনের  উপর  পৌরকর , পৌরসভাকে  পরিশোধ করিতে হয় ।   স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর , চট্রগ্রাম প্রতিষ্ঠানটির  ভবন সমূহের নির্মাণ, মেরামত, সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজ করে  থাকেন । 

কার্যক্রমঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ,মাঠ কর্মীদের  কর্মভিত্তিক  প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ কোর্সগুলি হচ্ছে,  ১. পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ০২ (দুই) মাস ব্যাপী  মৌলিক প্রশিক্ষণ। ২. পরিবার  পরিকল্পনা পরিদর্শকদের ০২(দুই) সপ্তাহব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ ৩. পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গণের জন্য মনিটরিং, সুপারভিশন ফলো আপ সুপারভাইজ প্রশিক্ষণ ৪.  পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জন্য টিম ট্রেনিং ৫.  ই এল সি ডি এন্ড বি আর সি আর ট্রেনিং। ৬. পুনঃ প্রশিক্ষণ ৭. কোভিড ১৯ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি । এ ছাড়া ০২ (দুই) বৎসর ব্যাপী  প্যারামেডিক  প্রশিক্ষন দেয়া হতো ( যা বর্তমানে বন্ধ আছে , পুনঃ চালু করা যেতে পারে )।

অধিভুক্ত এলাকাঃ চট্রগাম জেলার ০৭ (সাত)টি উপজেলা (সীতাকুন্ড, মিরসরাই, সন্ধীপ, ডাবলমুরিং, পাঁচলাইশ, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি), ফেনী জেলা , কুমিল্লা জেলা, খাগড়াছড়ি জেলা ।

উদ্দেশ্যঃ  অধিভুক্ত   এলাকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কার্যক্রমে  নিয়োজিত মাঠকর্মীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির  অনুকূল পরিবর্তনের মাধ্যমে  সেবার মান উন্নত করা ।

প্রশিক্ষণ সুবিধাদিঃ  ০২ (দুই)টি , সুসজ্জিত প্রশিক্ষণ  কক্ষে  ,প্রতি ব্যাচে ২৫ ( পঁচিশ) জন  প্রশিক্ষনার্থী নিয়ে ০২টি ব্যাচে ৫০ (পঞ্চাশ) জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ  প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে । প্রয়োজনীয় আধুনিক  প্রশিক্ষণ উপকরণ ও প্রশিক্ষণ সহায়ক  সরঞ্জামাদি , যেমন মাল্টিমিডিয়া, প্রজেক্টর , ল্যাপটপ, হোয়াইট বোর্ড, ইজেল বোর্ড ,টি ভি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল  যন্ত্রপাতি । দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত  সুদক্ষ ও  অভিজ্ঞ  প্রশিক্ষক ও এক ঝাঁক ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তা  কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় ।  আন্তকক্ষ  প্রশিক্ষণের পাশাপাশি  অভিজ্ঞতা অর্জন  বিনোদনের লক্ষ্যে  মাঠ প্রশিক্ষণের জন্য  নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।

আবাসিক সুবিধাঃ নিজস্ব ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা রয়েছে ।  একই সংগে ৫৫ (পঞ্চান্ন) জন প্রশিক্ষণার্থী  অবস্থান করতে পারেন । পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে । সরকার কর্তৃক  নির্ধ্বারিত  হারে  সীট ভাড়া ও খাবারের মূল্য  পরিশোধ  স্বাপক্ষে  উল্লিখিত সুবিধাদি  গ্রহণের  ব্যবস্থা রয়েছে ।  প্রতিটি কক্ষে ০২(দুই)টি সিট ও আনুষাংঙ্গিক দ্রব্যাদি রহিয়াছে । সেবা প্রদানের জন্য লোকবল নিয়োজিত রয়েছেন।

বিনোদনঃ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি   খেলাধূলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রহিয়াছে । কমনরুম, লাইব্রেরী, দৈনিক জাতীয়  পত্রিকা, সাময়িকী , জার্নাল সাময়িকী, পেশাগত বিভিন্ন বই পড়ার সুযোগ  রহিয়াছে । তেমনি খেলাধূলা ও গান-বাজনার  সকল উপকরণ রয়েছে। পর্যটন এরিয়া  হিসাবে সীতাকুন্ড বিখ্যাত। এখানে  রয়েছে সীতার  পাহাড়, যাহা চন্দ্রনাথ ধাম নামে  পরিচিত । পাশেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর , যার হাতছানিতে পর্যটকদের খুব টানে । আরো  রয়েছে ইকোপার্ক। প্রশিক্ষণার্থীগন এখানে এলে মহাআনন্দে সময় কাটায়।